বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র: বাহাত্তরের সংবিধান ও সমতামুখী সমাজের আকাঙ্ক্ষা

পর্ব ::৬৫

পূর্বে প্রকাশিতের পর
– ‘To safeguard civil liberties, such as individual and collective freedom of belief, expression, association and organization.’
– ‘To secure the basic necessities of life of every citizen  of Pakistan namely, food, shelter, clothes, education, medical aid and the scope to earn an honest and honorable competence.’
_ ‘To relieve sufferings, propagate knowledge, promote equality and justice, banish oppression, eradicate corruptions, elevate moral and maternal standard of the people …’

এ তো গেল দলের ‘Aims and Objectives’-এর কথা| ‘Immediate Program-এর মধ্যে আবারও ধ্বনিত হলো ইতিপূর্বে শোনা আর্থ-সামাজিক দাবিগুলো।

‘Abolition of the system of zamindary without compensation and equitable distribution of land among the tillers of the soil.’
– ‘To nationalise the key industries, essential  to the life of the nation; to establish industries on Govt. initiative and also to organise, expand and encourage cottage industries, etc.’
-’To introduce free and compulsory primary education; to reorganise secondary and higher education on modern and scientific basis.’
– ‘To provide a network of Govt. charitable dispensaries to afford free medical aid all over the country.’
– ‘To fix a just and fair apportionment of all revenues betwen the centre and the provinces.’

এত দীর্ঘ আলোচনার উদ্দেশ্য একটাই। সেই ১৯৪৯ সাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ও চেতনায় উদারনৈতিক গণতন্ত্র এবং সমতামুখী অর্থনীতি পরিচালনার অঙ্গীকার দানা বেঁধে ছিল। বাহাত্তরের সংবিধানের ‘চারটি মূলস্তম্ভ’ হঠাৎ করে বা তৎকালীন ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির চাপে উদ্ভূত হয়নি। এর পেছনে আমি দীর্ঘ পূর্বাপরতা-দার্শনিক মিশেল ফুকোর ভাষায় genealogical trail-দেখতে পাই, যা শেখ মুজিব ও তার দীর্ঘকালের সহকর্মীদের মনে গভীর উপলব্ধি হয়ে মিশে ছিল। গণতন্ত্র যেমন চাই, তেমনি চাই সমতামুখীন আকাঙ্ক্ষার সমাজ ও অর্থনীতি- এটা তাদের চোখে ছিল একটি স্বাভাবিক দাবি। বাহাত্তরের সংবিধানের আলোচনায় পরবর্তীতে আমরা দেখব যে, গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের এই স্বাভাবিক দাবিকে ঘিরে বাহাত্তরের গণপরিষদে (যার সদস্যগণ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে এসেছিলেন) এক ব্যাপক ঐকমত্য বিরাজ করছিল। সমাজতন্ত্রের স্তম্ভটিকে নিয়ে একটিও আপত্তি সেদিনের গণপরিষদে উচ্চারিত হয়নি। এই ব্যাপক ঐকমত্যের পেছনের কারণ খুঁজতে গেলে ১৯৫০-৬০ দশকের মূলধারার রাজনীতির দলিলপত্রের আদর্শ ও কর্মসূচিকে ঘনিষ্ঠভাবে বিচার-বিশ্নেষণ করতে হবে। তারই একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরছি এই অধ্যায়ের বাদবাকি অংশে।
১৯৫৩ সালের ৩ জুলাই। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকায়। সেখানে গৃহীত ‘সাংগঠনিক রিপোর্টে’ বলা হচ্ছে :
‘১৯৪৯ সালের ১১ অক্টোবরের খাদ্য মিছিলের ওপর সরকার হামলা করিয়া মওলানা ভাসানী, জনাব শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য বহু কর্মীকে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ রাখিয়াও গণতন্ত্রের দুষমন লীগ সরকার আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে পারে নাই। …পাকিস্তানের অন্যতম স্রষ্টা জনাব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাক-ভারত মৈত্রী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার সপক্ষে এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যে বলিষ্ঠ আওয়াজ তুলিয়াছিলেন… আওয়ামী মুসলিম লীগও সেই আওয়াজকে কর্মসূচিভুক্ত করে। অতঃপর পূর্ব পাক আওয়ামী মুসলিম লীগ বিনা খেসারতে জমিদারি উচ্ছেদ, লাঙ্গল যার জমি তার ভিত্তিতে ভূমি বণ্টন, জাতীয়করণের ভিত্তিতে শিল্পায়ন, প্রত্যেকের কাজের ব্যবস্থা- প্রত্যেকের স্বাস্থ্য, শিক্ষার নিরাপত্তার ভিত্তিতে এক কর্মসূচি গ্রহণ করে।’
অর্থাৎ দলের ‘সাংগঠনিক রিপোর্টেও’ ১৯৫৩ সালেই পুনরায় সামন্তবাদের অবসান ও ‘জাতীয়করণ’-এর ভিত্তিতে শিল্পায়নের দাবি জানানো হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, বিদেশ নীতিতেও সাম্রাজ্যবাদী জোটের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছিল সেদিন :
‘আওয়ামী লীগ ঘোষণা করিয়াছে কমনওয়েলথ-এর সাথে আমাদের সম্পর্ক ত্যাগ করিতে হইবে। তারা আরও দেখিয়াছে কৃষি ও শিল্পে তারা যে প্রগতিবাদী কর্মসূচি গ্রহণ করিয়াছে উহা সামন্তবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থার একান্ত পরিপন্থী। তাই আওয়ামী লীগ কমনওয়েলথ ত্যাগই নহে- সমস্ত সাম্রাজ্যবাদী জোটের সাথে সম্পর্কহীন সক্রিয় নিরপেক্ষতার নীতি ঘোষণা করিয়াছে। আওয়ামী মুসলিম লীগ এই নীতির অনুকূলে শান্তি আন্দোলনেও সক্রিয় অংশগ্রহণ করিয়াছে।’
দেখা যাচ্ছে, শেখ মুজিবের রাজনৈতিক ধারায় সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদ বিরোধিতা এবং শান্তি আন্দোলনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই প্রকাশ পাচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু পান বিশ্ব শান্তি পুরস্কার। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে মুজিব বিশ্ব শান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে বিরল জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেন। যার নামে ওই পুরস্কার তার পুরো নাম ফ্রেদেরিক জুলিও কুরি। তিনি ছিলেন একজন ফরাসি বিজ্ঞানী, ১৯৩৫ সালে তার স্ত্রী আইরিন জুলিও কুরির (দুইবার নোবেল বিজয়ী মেরি কুরির কন্যা) সাথে একত্রে ‘আর্টিফিসিয়াল রেডিও অ্যাক্টিভিটি’র ওপরে পথিকৃৎ গবেষণার জন্য রসায়ন শাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পান। ফ্রেঞ্চ রেজিস্ট্যান্সের সক্রিয় নেতা ছিলেন জুলিও কুরি। বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। এহেন গুণী ও সাহসী মানুষের নামে প্রদত্ত শান্তি পদক লাভ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু এখানে মূল বক্তব্য অন্যত্র। উপরোক্ত ‘সাংগঠনিক রিপোর্টে’ পরিস্কার ভাষায় লেখা হয়েছিল : আওয়ামী লীগ ‘বিশ্বধ্বংসী রণপাগল সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে রুখিয়া দাঁড়াইয়াছে’ এবং আজ নীতিগতভাবে সামন্তবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী শক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এ রকম একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় সংগঠক ও কালক্রমে প্রধান ব্যক্তিত্ব মুজিব যে উক্ত সাংগঠনিক রিপোর্ট লেখার দুই যুগ পরে জুলিও কুরি শান্তি পদক পাবেন তাকে যৌক্তিক পরিণতি হিসেবে দেখাটাই স্বাভাবিক। পাঠকদের মনে রাখতে বলব, ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের’ উক্ত সাংগঠনিক রিপোর্ট উত্থাপনকালে মুজিব ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৫৫ সালে দলটির নামান্তর হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘আওয়ামী লীগে’। এই রূপান্তর ঘটে ১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর দলের বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে। দলের পক্ষ থেকে ‘বার্ষিক রিপোর্ট’ উত্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিব স্বয়ং। সেই বার্ষিক রিপোর্টেও ‘প্রতিষ্ঠানকে অসাম্প্রদায়িককরণের প্রসঙ্গ’ আলোচনার পাশাপাশি ইতিপূর্বে উল্লিখিত আর্থ-সামাজিক দাবিগুলো পুনরায় তোলা হয়।
যেমন, ১৯৫৫ সালে দলের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয় যে, ‘সামন্তবাদী ভূমি ব্যবস্থাই পূর্ববঙ্গের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশের মূল প্রতিবন্ধক। বিনা খেসারতে জমিদারি প্রথার উচ্ছেদ সাধন ও কৃষককে জমির মালিকানা স্বত্ব দান করাই সামন্তবাদী শোষণ অবসানের প্রথম পদক্ষেপ।’ কিন্তু মুসলিম লীগ সরকার ‘পূর্ববঙ্গ ভূমি দখল ও প্রজাস্বত্ব’ নামে যে আইনের জন্ম দিয়েছে তা আসলে ‘ক্ষয়িষ্ণু জমিদারি প্রথাকে নতুন ধাঁচে ঢালাই করার’ পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছু নয়। ‘পাটনীতি’ সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে, ‘পাট শিল্পকে জাতীয়করণ না করিলে এবং প্রতিটি রাষ্ট্রের সহিত সমপর্যায়ের ভিত্তিতে বাণিজ্য না করিলে পাট শিল্পের ভবিষ্যৎই নেই। এই জন্যই যুক্তফ্রন্টের একুশ দফা কর্মসূচিতে পাট জাতীয়করণ করার ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল।’ এর পাশাপাশি ‘শিল্পনীতি’ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ব্যক্তি খাতের কলকারখানা বিকাশের সমস্যা তুলে ধরা হয়। যেমন, বলা হয় যে, ‘দেশের শিল্পপতিগণ আজ এক বিরাট সংকটের সম্মুখীন। একদিকে বিদেশিদের সহিত প্রতিযোগিতায় মার খেয়ে তারা পঙ্গু, আবার অন্যদিকে দেশের বাজারের অধিকাংশ ক্রেতার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় উৎপাদিত দ্রব্যের কেনাবেচা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।’ এবং সবশেষে- ‘সরকারের বন্ধ্যা শিল্পনীতি এই সমস্যা প্রতিরোধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’ এ ছাড়াও ‘শ্রমনীতি’, ‘শিল্পনীতি’, ‘স্বাস্থ্য সমস্যা’, ‘বন্যা সমস্যা’, ‘মৌলিক অধিকার’ ও ‘বৈদেশিক নীতির’ আলোচনা স্থান পায় উপরোক্ত বার্ষিক রিপোর্টে। সামগ্রিকভাবে, এই দলিলে লিবারেল ডেমোক্রেসির প্রতি অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। ১৯৪৯ সালের ইতিপূর্বে আলোচিত র‌্যাডিকেল খসড়া ম্যানিফেস্টোর তুলনায় ভাষায় ও অভিপ্রায়ে অপেক্ষাকৃত সংযত ও সতর্ক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি চোখে পড়ে এই দলিলে। সেটা সম্ভবত সোহরাওয়ার্দীর প্রভাব ও তৎকালীন সার্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে কিছুটা রাজনৈতিক কৌশলগত কারণে।
১৯৬৪ সালের ‘পুনরুজ্জীবিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের খসড়া ম্যানিফেস্টো’-তে এসে অবশ্য এই ভাষাভঙ্গী পুরোপুরি পাল্টে যায়। এই লড়াকু রূপান্তরে মূল নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিব। ততদিনে সোহরাওয়ার্দী মৃত্যুবরণ করেছেন, মওলানা ভাসানী তারও বেশ কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), জেনারেল আইয়ুব খানের ক্ষমতা দখলের ৬ বছর পেরিয়ে গেছে। সারাদেশে গণতন্ত্রের দিক থেকে দেখলে এক বন্ধ্যা-পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিভক্ত ও স্থবির দশা থেকে আওয়ামী লীগকে ‘পুনরুজ্জীবিত’ করার কঠিন সংগ্রাম চালানোর দায়িত্ব প্রায় একাই কাঁধে তুলে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এ জন্যই ১৯৬৪-এর খসড়া ম্যানিফেস্টোটি আমাদের আলোচনার জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, ১৯৬৬-এর ৬ দফা প্রণয়নেরও আগে এই দলিলেই আগামী দিনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংগ্রামের দিকনির্দেশনাগুলো প্রত্যক্ষে-পরোক্ষে নির্দেশিত হয়েছে। এই যুক্তিটি বিশদ ব্যাখ্যার দাবি রাখে।
‘পুনরুজ্জীবিত’ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের (যার কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালের ৬-৭ মার্চ) সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে থাকলেও দলটির পুনরুজ্জীবনের পেছনে মূল নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা এসেছিল শেখ মুজিবের কাছ থেকেই। কমিটিতে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবেন পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এইচএম কামারুজ্জামান, তাজউদ্দীন আহমদ প্রমুখ। এই পুনরুজ্জীবিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সে সময়ে বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছিল (‘এবডো’ তখনও বিদ্যমান- যা ১৯৬৬ পর্যন্ত বলবৎ ছিল)। এখানে বলা দরকার, আইয়ুবের জারি করা রাজনৈতিক দল ও কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার জন্য ‘এবডো’ আইন পাস হয় ১৯৫৮ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর পরই। এ রকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পুনরুজ্জীবিত আওয়ামী লীগের ১৯৬৪ সালের খসড়া ম্যানিফেস্টো তথা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচি প্রস্তুত করা হয়। আমি এখানে শুধু অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রতি দৃষ্টি দেব- সমতামুখীন সমাজের আদর্শ কীভাবে এদেশে গড়ে উঠেছিল তা বোঝার তাগিদ থেকে। কয়েকটি প্রাসঙ্গিক উদাহরণ শুধু নিচে তুলে ধরা হলো।
প্রথমেই বলা দরকার, ‘অর্থনৈতিক আদর্শ’ হিসেবে এই ম্যানিফেস্টোতে ১৯৬৪ সালে যা বলা হয়েছিল, তারই প্রতিধ্বনি হয়েছিল পরবর্তীতে বাহাত্তরের সংবিধানে ও বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়। এর থেকে এটাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭২-৭৩ সালে গৃহীত ‘সমাজতান্ত্রিক’ চিন্তা-ভাবনার বীজ এই দলিলেই সুসংহতভাবে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং তাতে মূল অবদান রেখেছিলেন রাজনীতিবিদরাই। ‘দুই অর্থনীতি’ বিষয়ে আলোচনা করা এদেশের প্রাগ্রসর ও শীর্ষস্থানীয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের সমর্থক অর্থনীতিবিদরা পরবর্তীতে প্রসিদ্ধি লাভ করেন এবং পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন বঙ্গবন্ধু ও তার সহকর্মীদের প্রদর্শিত রাজনৈতিক দর্শনের নির্দেশিত পথ ধরেই।

[ক্রমশ

1 thought on “বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র: বাহাত্তরের সংবিধান ও সমতামুখী সমাজের আকাঙ্ক্ষা

  1. Pingback: বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র: বাহাত্তরের সংবিধান ও সমতামুখী সমাজের আকাঙ্ক্ষা — Dr. Binayak Sen – C

Leave a comment