পর্ব ::৬৩
পূর্বে প্রকাশিতের পর
যে চিঠির কথা মুজিব এখানে বলছেন তা কিছুটা ব্যাখ্যার দাবি রাখে। মুজিব এখানে একাধিক চিঠির কথা বলছেন। বস্তুতই একাধিক বার্তা দেওয়া হয়েছিল সোভিয়েতের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরেই। আমরা সচরাচর যে চিঠির কথা মনে রেখেছি, তা হলো ১৯৭১ সালের ২ এপ্রিলে লেখা সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নির চিঠি। ইয়াহিয়াকে উদ্দেশ করে লেখা এ চিঠিতে পদগর্নি সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘চরম দুর্ভাবনা’ (Great alarm) ব্যক্ত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, ইয়াহিয়া জরুরি ভিত্তিতে এমন ব্যবস্থা নেবেন যাতে করে রক্তপাত ও নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করা হবে : ‘Podgorny urged Yahya to take the most urgent measures to stop the bloodshad and repression against the population in East Pakistan and for turning to methods of a peaceful political settlement.’ এটা বলে পদগর্নি এ-ও উল্লেখ করেন যে, তিনি পাকিস্তানের ব্যাপারে তার উদ্বেগ প্রকাশ করছেন কেবল বিশ্ব-মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে : ‘Podgorny added that he was guided by ”the genarally recognized humanitarian principles recorded in the universal declaration of human rights.’’
যেটা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়নি সেটা হলো পদগর্নির চিঠির আগেও একটি প্রতিবাদ বার্তা গিয়েছিল রুশ প্রধানমন্ত্রী কোসিগিনের কাছ থেকে। ২৫ মার্চের গণহত্যা শুরুর দুই দিন বাদেই করাচিতে অবস্থানরত সোভিয়েত কনসাল জেনারেলের মাধ্যমে ইয়াহিয়ার কাছে একটি মৌখিক বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রী কোসিগিন। শ্রীনাথ রাঘবনের বই থেকে সেই মৌখিক বার্তার বিষয়বস্তুটি নিচে তুলে ধরছি :
‘Kosygin had stated that Òextreme measures taken by the military administration and continuation of bloodshed in East Pakistan will not solve the existing complicated problems.’’ He asked Yahya to Òtake immediate measures for the cessation of bloodshed in East Pakistan and for the resumption of negotiations.’’ পরবর্তীতে নয় মাস ধরে বাংলাদেশকে ঘিরে সোভিয়েতের উদ্যোগে অসংখ্য দ্বিপক্ষীয় পারস্পরিক আলোচনা ও মতবিনিময় চলবে ভারত সরকারের সাথে- যার সম্পর্কে মুজিব পরবর্তীকালে বিস্তারিত জেনেছিলেন। স্থানাভাবে এখানে একটি উদাহরণের কেবল উল্লেখ করব। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন যে ‘নেপথ্যের পরামর্শদাতার’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল সেটা এ থেকে স্পষ্ট হয়। ১৯৭১ সালের ৮ জুন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং গিয়েছেন মস্কোয় বাংলাদেশ বিষয়ে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী কোসিগিনের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে। শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন ও পূর্ব বাংলার সংকটের সমাধানের জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানো- এই দুটি পরস্পর সম্পর্কিত ইস্যুতে কোসিগিন পরামর্শ দিলেন আপাতত দুটি ইস্যুকে আলাদা করে নিষ্পত্তির চেষ্টা হোক। কোসিগিন বললেন,‘Refugees must go back, all of them, every one of them’- এটার ওপরেই প্রথমে জোর দিতে হবে। তবে এর সাথে সাথে দ্বিতীয় ইস্যুর ওপরেও কাজ করতে হবে। যদিও পাকিস্তান বলবে যে, রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলে আসলে তার ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ নাক গলানো হচ্ছে, তা সত্ত্বেও ভারতের উচিত হবে ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রামে সাহায্য করে যাওয়া’ : Kosygin suggested, Òin strict confidence’’, that India could continue to support the Bengali guerrillas as well as the mass struggle. ‘Therfore, let us not bundle the two [issues] together, but give all possible help to the democratic forces … You are a politician, you know what I am implying.” স্পষ্টতই কোসিগিন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি চান বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে সর্বপ্রকারের সাহায্য দিতে- প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক কূটনীতিক রীতিসম্মত বাধ্যবাধতার চৌহদ্দি লঙ্ঘন না করেই। এ দেশে যারা মনে করেন এখনও যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েতের ভূমিকা কেবলমাত্র সীমিত ছিল ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের যুদ্ধের দিনগুলোতে ‘ভেটো প্রদানের’ মধ্যেই তারা বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের নয় মাসে সোভিয়েতের নানামুখী ভূমিকার গভীরতা ও মাত্রা সম্পর্কে যথেষ্ট মাত্রায় ওয়াকিবহাল নন। এজন্যই বঙ্গবন্ধু দুই দেশের সংগ্রামের মধ্যে এক আত্যন্তিক যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ৬ মার্চ রাশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরে এসে তিনি বলেছিলেন : ‘আমাদের দেশের জনসাধারণ স্বাধীনতার জন্য যে সংগ্রাম করেছে, যে রক্ত দিয়েছে, যে ত্যাগ স্বীকার করেছে সে খবর তারা জানে এবং প্রত্যেক রাশিয়ার জনগণ তা জানে। রাশিয়ার জনসাধারণ আমার বাংলার জনসাধারণকে সেজন্য শ্রদ্ধা করে। এ জন্য শ্রদ্ধা করে যে রাশিয়াও রক্তের মাধ্যমে সংগ্রামের মাধ্যমে বিপ্লবের মাধ্যমে তার দেশকে মুক্ত করেছিল। আমার সাড়ে সাত কোটি বাংলার মানুষও রক্ত দিয়ে সংগ্রামের মাধ্যমে, সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে তার সাড়ে সাত কোটি মানুষকে মুক্ত করেছে। সেজন্য তাদের সঙ্গে আমাদের অনেকটা নীতির মিল রয়েছে।’
এই ‘নীতির মিল’-এর থেকে কোনো কোনো বিদ্বজ্জন এ রকম ইঙ্গিত করার প্রয়াস পেয়েছেন যে বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্র বা বাহাত্তরের সংবিধানের সমাজতন্ত্র আসলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও ইন্দিরা গান্ধীর সোভিয়েত-ঘেঁষা নীতির রাজনৈতিক প্রভাবকেই প্রতিফলিত করেছে। খুঁটিয়ে দেখলে এ রকম সিদ্ধান্তের পেছনে তথ্য-উপাত্তের প্রমাণ মেলা ভার। সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের Demonstration Effect-এর প্রভাব নিশ্চিতভাবেই বাহাত্তরের সংবিধানের সমাজতন্ত্র-সম্পর্কিত ডিসকোর্সের ওপরে পড়েছিল। কিন্তু তা সত্তর দশকের গোড়াকার সোভিয়েত সমাজতন্ত্রের প্রভাব নয়। লেনিনের অক্টোবর বিপ্লবের (এবং সাধারণভাবে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে ফ্যাসিবাদ-নাজিবাদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত বিশ্ব সমাজতন্ত্রের) প্রভাব অনুভূত হয়েছিল গোটা পৃথিবীতেই। ইউরোপের শ্রমিক আন্দোলন, তৃতীয় বিশ্বের ঊপনিবেশবিরোধী জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম, বিশ্বজোড়া পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী শান্তির সংগ্রাম, ষাটের দশকের ছাত্র-যুবকদের এন্টি-এস্টাবলিশমেন্ট আন্দোলন, হো চি মিনের ভিয়েতনাম, গণচীনের উত্থান-পর্বে সোভিয়েতের সাহায্য, ফিদেল ও চে’র কিউবার আত্মপ্রকাশ, গ্যাগারিনের মহাকাশ-যাত্রা- সবকিছুর মধ্য দিয়েই সমাজতান্ত্রিক আদর্শ বা এর উজ্জ্বল ভাবমূর্তির একটা প্রভাব পড়ে থাকবে এ দেশেও। বঙ্গবন্ধু এই প্রভাববলয়ের বাইরে ছিলেন না। স্ট্যালিনের ধারার ‘ব্যারাক সমাজতন্ত্রে’ মুজিবের কোনোদিনই আস্থা ছিল না। কিন্তু সমাজতন্ত্রের শোষণবিরোধী চরিত্রটি তার নজর কেড়েছিল সেই তরুণ বয়সেই। তারপর সময়ের সাথে সাথে এক নিজস্ব ধারার গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রের আদল তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় ক্রমশ স্পষ্ট রূপ নিচ্ছিল। একে যেমন সুইডিশ মডেলের সোশ্যাল ডেমোক্রেসি বলা চলে না, আবার সোভিয়েত কমান্ড ইকোনমির সমাজতন্ত্রও বলা ভুল হবে। বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্রের ভাবনায় evolutionary pattern বোঝার ক্ষেত্রে নিকটতম আকর-উৎস হচ্ছে ১৯৪৭-৭১ অবধি আওয়ামী লীগের ভেতরকার দলিলপত্র। সেদিকেই আমরা এতক্ষণ দৃষ্টি দেইনি, এবং সেদিকেই এখন দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
প্রথমেই যেটা চোখে পড়ে তা হলো পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই আওয়ামী লীগের দলিলপত্রে সমাজতন্ত্রের শব্দাবলি ও ধারণার উদার ব্যবহার। এমনকি যখন আওয়ামী লীগ স্বনামে আত্মপ্রকাশ করেনি, ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ রূপে সবে গঠিত হচ্ছে, সেই শুরুর পর্যায়ে তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সমসাময়িক তরুণ বয়সী রাজনৈতিক কর্মীরা স্বপ্ন দেখেছেন সমাজতন্ত্রের। ১৯৪৯ সালের (২৩-২৪ জুন) পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের ‘খসড়া ম্যানিফেস্টো’ নানা দিক থেকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দলিল। টাঙ্গাইলের শামসুল হক সম্ভবত এটি রচনা করেন। রচনা যারই হোক না কেন, মুজিবের সমাজতন্ত্র ভাবনায় এটি গভীর প্রভাব ফেলেছিল এবং খসড়াটিকে যৌথ-ভাবনার ফসল হিসেবেও দেখা যায়। স্মর্তব্য, তখন মুসলিম লীগের শাসন চলছে পূর্ব পাকিস্তানে; দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগের পর পাকিস্তান বাহ্যত ‘ইসলামিক রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষিত। তরুণ মুজিব, শামসুল হক প্রমুখ দলের সভাপতি মওলানা ভাসানীর প্রশ্রয়ে এই ইসলামী ডিসকোর্সের ভেতরে থেকেই রাজনৈতিক প্রতিবাদের নতুন ভাষা নির্মাণ করছেন। সমতামুখী সমাজের আকাঙ্ক্ষা উচ্চারিত হচ্ছে এই প্রতিবাদের ভাষাভঙ্গির ভেতরেই। একগুচ্ছ উদাহরণ:
১. সাম্রাজ্যবাদ ও পুঁজিবাদ বিরোধিতা : ‘ভারতে মুসলমানগণ বহু শতাব্দীর সঞ্চিত অভিজ্ঞতা হইতে … বিরুদ্ধ পরিবেশ বা দারুল হরবের পরিবর্তে ইসলামিক পরিবেশ বা দারুল ইসলাম কায়েম করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়াছিল কিন্তু পাকিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্র হইলেও শুধু মুসলমানের রাষ্ট্র বা শুধু মুসলমানের জন্য প্রতিষ্ঠিত করিবার এবং পাশ্চাত্য সভ্যতা ও শিক্ষা প্রভাবান্বিত ইসলামবিরোধী সাম্রাজ্যবাদী, ধনতান্ত্রিক ও আত্মকেন্দ্রিক পরিবেশ গড়িয়া তুলিবার ইচ্ছা তাহাদের ছিল না। … পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ পাকিস্তানকে দারুল ইসলাম বা সত্যিকার মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিবার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইয়াছে।’
২. সাম্রাজ্যবাদ বিরোধিতা ও বিশ্বশান্তি : ‘সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র ও সম্প্রদায়গুলি, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের তোড়জোড় শুরু করিয়াছে। এই তোড়জোড় প্রত্যক্ষ হইয়া উঠিয়াছে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়া বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবন নিয়ন্ত্রিত করার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়া এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সমরসজ্জা ও যুদ্ধঘাঁটি স্থাপনের মধ্য দিয়া। … পাকিস্তান রাষ্ট্রের উচিত এই সাম্রাজ্যবাদী ও যুযুৎসু প্রচেষ্টাকে নিরুৎসাহ করা এবং ইহার বিরুদ্ধে দৃঢ় পরিকল্পনা গ্রহণ করা। পৃথিবীর সমস্ত দেশের সাম্রাজ্যবাদী শাসন ও শোষণ হইতে পৃথিবীকে মুক্ত করার সমস্ত প্রচেষ্টায় পাকিস্তানকে অংশীদার হইতে হইবে এবং শান্তি, নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের, সর্বব্যাপী বিজয় অভিযানকে জয়যুক্ত করিবার জন্য অন্যান্য জনতার গণতান্ত্রিক ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সর্বপ্রকার প্রগতিশীল ও জনকল্যাণকর আন্দোলন ও কর্মধারায় সাহায্য ও সক্রিয় সহযোগিতা করিতে হইবে।’
৩. ‘সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সংঘ’ : (ক) ‘পাকিস্তান ব্রিটিশ কমনওয়েলথ তথা সর্বপ্রকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ শাসনের বাহিরে একটি পূর্ণ স্বাধীন ও সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সংঘ হইবে।’ দেখা যাচ্ছে যে, লাহোর প্রস্তাবের ধারায় বিভিন্ন আঞ্চলিক ইউনিটকে নিয়ে একটি ‘সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র সংঘ’ গড়ার চিন্তা ছিল তরুণ মুজিব ও তার সহকর্মীদের; (খ) ‘পাকিস্তানের আঞ্চলিক ইউনিটগুলোকে আত্মনিয়ন্ত্রণের পূর্ণ অধিকার দিতে হইবে; (গ) ‘সাধারণতন্ত্র এবং জনসাধারণের পূর্ণ গণতন্ত্রের ভিত্তিতে রচিত হইবে রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্র।’
৪. ‘কাজ করার অধিকার’ : ‘প্রত্যেক অধিবাসীরই কাজ করার অধিকার অর্থাৎ সুযোগ ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিযুক্ত হওয়ার এবং কাজের গুণ ও পরিমাণ-অনুযায়ী রাষ্ট্র-নির্ধারিত উপযুক্ত বেতন পাওয়ার পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে।’ বলা দরকার, এই দলীয় কাজ করার অধিকারকে ‘মৌলিক অধিকারের’ মধ্যে ফেলা হয়েছিল। মৌলিক অধিকারের মধ্যে আরও ছিল ব্যক্তিস্বাধীনতা, সর্বজনীন নির্বাচনী প্রথা, খাত নির্বিশেষে সকল নাগরিকদের জন্য বেকারবীমা ও পেনশন দান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার (অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা এবং সহজলভ্য মাধ্যমিক শিক্ষা সকল নাগরিকদের জন্য), ধর্মীয় অধিকার, নারীর অধিকার (প্রত্যেক নারীকে পূর্ণতম সুযোগ ও সুবিধাদান; ‘প্রত্যেক চাকুরিয়া নারীকে সন্তান প্রসবের পূর্বে ও পরে পূর্ণ বেতনে বিদায় মঞ্জুর’)। ‘ধনসম্পদের অধিকার’; ইত্যাদি।
[ক্রমশ]
Pingback: বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র: বাহাত্তরের সংবিধান ও সমতামুখী সমাজের আকাঙ্ক্ষা — Dr. Binayak Sen – C