বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র: বাহাত্তরের সংবিধান ও সমতামুখী সমাজের আকাঙ্ক্ষা

পর্ব ::৯৫
[পূর্বে প্রকাশিতের পর]
এজন্যেই সংবিধানের ‘প্রস্তাবনা’ অংশে বাংলাদেশের যে-জনগণের উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে ধর্ম-নির্বিশেষে আপামর মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সকলকেই অংগীকৃত করা হয়েছে। তাদের পরিচয় তারা সবাই বাঙালি জাতির অংশ, যারা এক নতুন পৃথিবীর রচনা করতে চলেছে, যারা জন্ম দিয়েছে এক নতুন বাঙালি জাতি-রাষ্ট্রের। এই জাতি-রাষ্ট্রের একটি মূল লক্ষ্য হচ্ছে- ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা’। ১৯০৫ সালের ‘বাঙালি মুসলিম জাতীয়তাবাদ’ বা ১৯৪৭ সালের জিন্নাহ্‌র ‘টু নেশন’ভিত্তিক ‘মুসলিম জাতীয়তাবাদ’- এই দুই জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের কোনোটারই লক্ষ্য ছিল না পূর্ববঙ্গের জনপদের সমগ্র বাঙালিকে এক পতাকা তলে একত্র করা। অথবা এর লক্ষ্য ছিল না গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা। এটি যুক্ত হয়েছে পরে- পাকিস্তান সৃষ্টির পরে প্রতিবাদী আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে- নানা ঘাত-প্রতিঘাতে বাঙালি মুসলিম ও বাঙালি হিন্দু একত্র হয়েছে। এবং এমনভাবে একত্র হয়েছে যেটি বাঙালির বিগত ‘হাজার বছরের’ জীবনযাত্রায় দেখা যায়নি। ধর্ম-জাতি-ভাষা এসব নিয়ে বিভেদ-বোধ জিইয়ে রেখে সফল জাতি-নির্মাণ করা যায় না। এসব বিভেদ-বোধ রেখে সমাজতন্ত্রের দিকে তথা সমতামুখীন সমাজের দিকেও অগ্রসর হওয়া যায় না। এখানেই সমতার দৃষ্টিকোণ থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রাসংগিকতা।
এক হিসেবে ‘বাংলা’ ও ‘বাঙালি’ শব্দ দুটো সাংকেতিক শব্দ :’অসাম্প্রদায়িক’ সমাজ গড়ার কোড ওয়ার্ড। সাম্প্রদায়িকতার দিকে যখন সামাজিক দাঁড়িপাল্লার এক প্রান্ত ঝুঁকে পড়ে, তাকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আনার জন্য ‘বাংলা’ ও ‘বাঙালি’ এই দুটি শব্দই যথেষ্ট। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু নানা বক্তৃতায় বাংলা, বাঙালি, বাংলার নদী, বাংলার মানুষ, বাংলার গ্রাম, বাংলার ভূপ্রকৃতি এসব অনুষঙ্গ ব্যবহার করেছেন। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার পেছনে জাতি-নির্মাণের চিন্তা তার মধ্যে কাজ করেছিল, কিন্তু তারও চেয়ে বেশি কাজ করেছিল অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা বিকাশের রাজনৈতিক তাগিদ। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। ১৯৭২ সালে মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ছাত্র ইউনিয়নের জাতীয় সম্মেলন। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বক্তৃতা শেষে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম (ডাকসুর তৎকালীন ভিপি) যখন সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও শোষণহীন সমাজের পক্ষে ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ স্লোগান দিচ্ছিলেন, তখন বঙ্গবন্ধু তার কানে ফিসফিস করে বললেন, ‘একটু জয় বাংলা স্লোগানটাও দিও সেলিম, অসাম্প্রদায়িকতার জন্য এটা দরকার।’ ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ স্লোগানের বিরোধী ছিলেন না মুজিব, কিন্তু পূর্ব বাংলার মানুষের ইতিহাস, সংস্কৃতি, মন-মানসিকতা তিনি বুঝতেন। তাই ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ এবং ‘সাম্রাজ্যবাদ নিপাত থাক’ এসব ‘বামপন্থি’ স্লোগানের পাশাপাশি ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটাও দিতে বলেছিলেন। কেননা এতে করে শ্রেণিচেতনার পাশাপাশি অসাম্প্রদায়িক চেতনারও বিকাশ ঘটবে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ শুধু শোষিত জাতির জাতীয়তাবাদ ছিল না তার জন্য, এটা ছিল অসাম্প্রদায়িক জাতি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি।
বাংলা ও বাঙালি নিয়ে শেখ মুজিব গভীরভাবে ভেবেছিলেন পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম চালাতে গিয়ে। এই সূত্রেই রবীন্দ্রনাথকে নতুনভাবে আবিস্কার করেছিলেন তিনি। রবীন্দ্রনাথও নতুনভাবে প্রতিভাত হয়েছিল পূর্ববঙ্গের বাঙালিদের কাছে। ১৯৫০ দশক থেকে শুরু করে ১৯৭১ অবধি রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন গান নানাভাবে ব্যবহূত হয়েছে বাঙালি জাতীয়তাবাদী সংগ্রামে। এই গানগুলো প্রথমে যে-প্রেক্ষিতেই রচিত হোক না কেন পঞ্চাশ-ষাটের দশকের নতুনতর প্রেক্ষিতে তা অন্য অর্থ ও মাত্রা পেয়েছে এটিও লক্ষ্য করার মতো। এখানে ‘প্রেক্ষিতের’ তাৎপর্য ‘পাঠকে’ পুনর্নির্মিত করেছে: context এসে :  text-র অর্থ ও ব্যবহার দুইই বদলে দিচ্ছে। একটি উদাহরণ দেব এখানে। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি’র মঞ্চ থেকে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলন’ করা হয়েছিল, যার থিম সং ছিলু’উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে’। রবীন্দ্রনাথের এই গানটিকে পটভূমিতে রেখে বোঝানো হচ্ছিল এই বুঝি মোদি আসছেন রথে চড়ে! এর থেকে কেউ বলতে পারেন যে গানটির মধ্যে নিশ্চয়ই হিন্দুত্ববাদের প্রতি অনুরক্তি ছিল কবির, নইলে বিজেপির মঞ্চ থেকে তা ব্যবহার হলো কী করে? এরকম অদ্ভুত ও অযৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয় গানটি অন্য প্রেক্ষিতেও আগে গাওয়া হয়েছে। সন্‌জীদা খাতুন লিখেছেন :”একাত্তরের জানুয়ারি থেকেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মতো স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত চলছিল। মুজিব-ইয়াহিয়া সংলাপ শুরু হওয়ার আগে থেকেই টেলিভিশনে দেশাত্মবোধক আর দ্রোহের গান চলছে। শান্ত-স্বভাবের ছাত্রী সেলিনা মালেকও গাইছে, ‘ওরে আগুন আমার ভাই’; ইফ্‌ফাত গাইছে, ‘যদি তোর ভাবনা থাকে ফিরে যা না’; ইকবাল গাইছে, ‘উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে’। সাবিনা-শাহনাজরাও দেশপ্রেমের গান গাইছে। আজাদ রহমান দৃপ্ত সুরের সম্মেলক গান করাচ্ছেন। রেডিওতে চলছে সমর দাসদের রক্ত গরম করা গান। রেডিওর ওই সব টেপ নিয়েই তাহের সুলতান-আশফাকুর রহমানরা সীমান্ত পার হয়ে গিয়ে স্বাধীন বাংলা বেতারে সেই সব গান চালান।” ইকবাল আহমেদ যখন ‘উড়িয়ে ধ্বজা অভ্রভেদী রথে, ওই যে তিনি ওই যে বাহির পথে’ বলে গান করছেন, তখন দর্শক-শ্রোতারা সত্যি সত্যি যেন দেখতে পাচ্ছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে এগিয়ে চলা এক মহানায়কের মহাযাত্রা। যেন মহাভারতের রথের চাকা নয়, এই বাংলাদেশেই রচিত হতে যাচ্ছে অন্য এক আসন্ন যুদ্ধের মহাকাব্য।
Context ভেদে কী করে : text-র অর্থ বদলে যায় সেটির আরেকটি নমুনা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’। ষাটের দশকে ও ১৯৭১ সালে গানটি অনেক বারই গাওয়া হয়েছে। কেউ তখন প্রশ্ন তোলেনি যে এসব গান ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময়ে রচিত। বাংলা যাতে বিভক্ত না হয় তার জন্যেই এই গানগুলো আদিতে রচিত হয়েছিল। সেই যুক্তিতে এই গানগুলোকে পূর্ব বাংলার মুসলিম শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সমর্থন দেওয়ার কথা নয়। কেননা তারা তো তখন বঙ্গভঙ্গ করার পক্ষে ছিলেন। অথচ কী অনায়াসে ১৯০৫ সালের সেসব গানগুলোকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ১৯৫০-১৯৬০ দশকের আন্দোলন সংগ্রামে। এসব গানের ব্যবহারের প্রতিবাদ করে কোনো বিরোধী কণ্ঠস্বরও তখন শোনা যায়নি প্রগতিবাদী জাতীয়তাবাদী শিবিরে। আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন সবাই এই গানগুলো গেয়েছে। আসলে রবীন্দ্রনাথকে আমরা কীভাবে সেদিন দেখেছি, তার গানকে ব্যাখ্যা করেছি বা যাকে বলে নিজেদের করে নিয়েছি (appropriate করেছি)-সেটি ছিল আমাদের স্বতন্ত্র স্বাধীন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সেখানে শুধু রবীন্দ্রনাথ নয়, দ্বিজেন্দ্রলালও গাওয়া হয়েছে, নজরুল তো ছিলেনই পূর্বাপর। যেমন, ১৯৬৯ সালে ছায়ানট পাঁচ দিন ধরে ‘গীতোৎসব’ করেছিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে। এতে শেষ গান ছিল যথাক্রমে ‘ধনধান্য পুষ্পভরা,’ ‘আমার সোনার বাংলা’, আর ‘দুর্গমগিরি-কান্তার-মরু’। শ্রোতাদর্শক সুদ্ধ সবাই দাঁড়িয়ে সেদিন ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়েছিল বোধকরি সেই প্রথম।
এই ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটিকে জাতীয় সংগীত করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর একান্ত আগ্রহ ও প্রত্যক্ষ নির্দেশ ছিল। এমনকি যে-ভার্শানটি এখন জাতীয় সংগীত হিসেবে গীত হয় সেটিও অনুমোদিত হয়েছিল তাঁরই সিদ্ধান্তে! সন্‌জীদা খাতুনের বর্ণনায় সেই ইতিহাস শুনব আমরা:
”১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ একগুচ্ছ বাউল সুরের দেশাত্মবোধক গান লেখেন। এখন বঙ্গভঙ্গের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ‘আমার সোনার বাংলা’ রচনার প্রসঙ্গ। গানটির উৎস এবং সাংগীতিক তাৎপর্য ব্যাখ্যায় না গিয়ে, সংশ্নিষ্ট কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা করব। ১৯৫৭ সালের প্রথমার্ধে ঢাকায় পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় নেতাসুদ্ধ প্রাদেশিক নেতাদের এক বৈঠক হয়েছিল। সংশ্নিষ্ট সবার জন্য কার্জন হলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সে সভায় আমার গান গাওয়ার কথা ছিল। সেই সন্ধ্যায় শেখ মুজিবুর রহমান আমাকে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি গাইতে অনুরোধ পাঠান। এর তাৎপর্য তখন বুঝিনি, আজ বুঝতে পারি। সেদিন পশ্চিম পাকিস্তানের সদস্যদের কাছে ‘সোনার বাংলা’ বিষয়ে বাঙালির আবেগ-অনুভূতি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন এ দেশের নেতা। এর কিছুদিন আগে ২৩ মার্চ পূর্ববঙ্গের নাম পূর্ব পাকিস্তান করে পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণীত হয়েছিল। আঞ্চলিক স্বাধীনতার জন্য উত্তাল আন্দোলনের সময়ে বঙ্গবন্ধু সব সময় জাহিদুর রহিমকে এই গান গাওয়ার জন্য খবর পাঠাতেন। রেসকোর্সের ময়দানে তাঁর সভায় জাহিদ যে কতবার ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়েছে! এ গানের আবেগ বাঙালিকে আমূল নাড়া দিয়েছে। পাকিস্তানি বিরূপ প্রচারণা রবীন্দ্রসংগীত আর রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে দ্বিধাগ্রস্ত করে রেখেছিল। জনপ্রিয় নেতার বাঙালি স্বার্থ সংরক্ষণমূলক বক্তৃতার সঙ্গে এই বাংলাপ্রীতির গান সব মানুষকে অনেকভাবে আকর্ষণ করল। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তাই মাঠের রাখালও স্বতঃস্ম্ফূর্তভাবে ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গেয়ে উঠেছে। দেশের সর্বজনের অন্তর থেকে উৎসারিত এই গান তাই হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। একুশে ফেব্রুয়ারি কিংবা বাঙালির যাবতীয় আন্দোলনের শিল্পীরা ওই গান গেয়েছেন বারবার।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘আমার সোনার বাংলা’র সুর আর স্বরলিপি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। তখন ক্যাবিনেট ডিভিশনের এক বৈঠকে বঙ্গবন্ধু রায় দেন, যে সুর গেয়ে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে, তা-ই আমাদের জাতীয় সংগীতের সুর। ঘটনা এই যে সুচিত্রা মিত্রের গাওয়া রেকর্ড থেকে যে সুর শুনে শিল্পীরা গানটি তুলেছিলেন, সে সুর থেকে নিজেরাই খানিকটা সরে যান।
বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্ত আমাদের ভুলের অপরাধকে মুছে দিয়েছিল। আজও সেই সুরে ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়ে চলেছি আমরা।”
বাংলা ভাষা, বাঙালির সাধারণ সুখ-দুঃখের অনুভূতি, বাংলার গান, বাংলার প্রকৃতি-এই নিয়ে গড়ে উঠেছিল বাঙালির জাতীয়তাবাদ। সেই জাতীয়তাবাদের মধ্যে একদিকে আছে স্বদেশবোধ-যাকে আমরা দেশপ্রেম বলি, অন্যদিকে আছে বাংলার নদী-মাঠ ভূপ্রকৃতি-যাকে আমরা ইকোলজি বা পরিবেশ-প্রকৃতি বলি। বঙ্গবন্ধুর বাঙালি জাতীয়তাবাদ আসলে এক-অর্থে ইকোলজিক্যাল ন্যাশনালিজম, পরিবেশকেন্দ্রিক জাতীয়তাবাদ। বাংলার পরিবেশ সম্পর্কে বিশেষ নৈসর্গিক অনুভূতি আছে বলেই আমরা বিশিষ্ট জাতি। এর বাইরে গিয়ে তত্ত্ব-রচনা করতে চাননি তিনি। বলেছিলেনও সেকথা :’জাতীয়তাবাদের অনেক সংজ্ঞা আছে। অনেক ঋষি, মনীষী, অনেক বুদ্ধিজীবী, অনেক শিক্ষাবিদ এ সম্পর্কে অনেক রকম সংজ্ঞা দিয়েছেন। সুতরাং, এ সম্বন্ধে আমি আমার নতুন সংজ্ঞা না-ই বা দিলাম।’ কিন্তু সংজ্ঞা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতি-সম্পর্কে আসলে একটি নতুন বোধের জন্ম দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘ভাষাই বলুন, শিক্ষাই বলুন, সভ্যতাই বলুন, আর কৃষ্টিই বলুন-সকল কিছুর সঙ্গে একটা জিনিস রয়েছে। সেটা হলো অনুভূতি। এই অনুভূতি যদি না থাকে, তাহলে কোন জাতি বড় হতে পারে না এবং জাতীয়তাবাদ আসতে পারে না।’ কিসের সেই অনুভূতি? একটি হচ্ছে বাংলার নদী-নালা মাঠ-ঘাট বিল-হাওর বাংলার গ্রাম এসব নিয়ে অভিন্ন অনুভূতি।
[ক্রমশ]

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s